অনামিকা রুনা:
হরিত ধরণীতে এলো কোন
সাজানো গুছানো কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ।
নির্মমতার ত্রাসে নির্যাতনের খুঁটিয়ে
নেই কোনো সজীব বৃক্ষ।।
জনবহুল সতেজ আঙ্গিনায়
পড়িল শুকুরের থাবা।
জীবন্ত প্রাণগুলো ঝরিল অকাতরে
মৃত্যু নিঃগত লাভা।।
তিক্ত দাগে বিদীর্ণ বুকে
নীল বর্ণের গোরস্তান।
ধারা জলে দিবারাত্রি শুনা যায়
বুক ফাটা আর্তনাদের কলতাল।।
রক্তের ধারায় জীবন্ত শহর
মৃত্যু থইথই করে।
গভীর রুদ্ধদ্বারে ঊর্ধ্ব শূন্য পার্শ্বে
নির্মম সভ্য ক্ষুধা পারাপারে।।
সারা ধরিত্রী ভোগ বিলাস বহুল
আর অপচয়ে নিমজ্জিত
একটুকরা ভূখন্ডে চলিতেছে
ক্ষুধার যন্ত্রণার অমরত্ব।।
মায়ের চোখের সামনে, ক্ষুধার্ত সন্তানের
ছটফটানি মৃত্যু দেখছে।
সন্তানের নিথর দেহ
বাবার কাঁধে উঠছে।।
শেষ হয়ে গেছে কাপনের কাপড়
দাফন হবে আর কত।
অর্ধমৃত্য দেহ গুলো
ক্ষুধায় বিভাসিত।।
আমাদের আর কী করা?
চেয়ে চেয়ে দেখা।
আমার ভাইয়ের মৃত্যুর তামাসা
কষ্ট যন্ত্রণা মাখা।।
বিশ্ব মুসলিম সভ্যতা আজ
নারকীয় তাণ্ডবের দর্শক।
আরবি বিশ্ব, জাতিসংঘ নিরব
তারা আজ মহা বিবেচক।।