ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর পরিকল্পনা করছিল না কিন্তু ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনের কারণে দেশটির নেতৃবৃন্দ বোমা বানাতে বাধ্য হতে পারে বলে মনে করেন ইরানের পারমাণবিক বিষয়ক একজন সমঝোতাকারী। খবর সিএনএনের।
বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় অংশ নেওয়া ইরানের সাবেক সমঝোতাকারী সায়েদ হোসেইন মৌসাভিয়ান সিএনএনকে বলেন, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে স্বচ্ছ অবস্থান বজায় রেখে আসছিল। পাশাপাশি জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ সংস্থার কাছেও যাচাইয়ের প্রশ্নে খোলামেলা ছিল। কিন্তু ২০১৫ সালের চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে গেলে ইরানের বোধোদয় হয় যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল দেশের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনে হামলা চালাতে পারে।
সায়েদ হোসেইন মৌসাভিয়ান বলেন, ইরানের সাধারণ মানুষ বলছে, স্বচ্ছতা থাকার পরও এমনকি পারমাণবিক বিরোধগুলোও যদি নিষ্পত্তি হয়, তারপরও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল শাসক পরিবর্তনে ইরানে হামলা চালাবে।
তিনি আরও বলেন, আর সেজন্যই ইরানিদের প্রয়োজন পারমাণবিক প্রতিরোধ, যার অর্থ পারমাণবিক বোমা তৈরি করা। আমার মনে হয়— মার্কিন ও ইসরাইলিরা ইরানিদের বলছে — সবচেয়ে ভালো প্রতিরোধের জন্য বোমা বানাও। এবং আমি বিশ্বাস করি যদি এই নীতি অব্যাহত থাকে তবে ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির সিদ্ধান্ত নেবে।
মৌসাভিয়ান বলেন, ইরানের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিলেও দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে তাকে বিচ্যুত করা যাবে না, কারণ যুদ্ধ ব্যবহারিক জ্ঞানকে ধ্বংস করতে পারে না।
এ প্রসঙ্গে মৌসাভিয়ান আরও বলেন, আমি মনে করি সবচেয়ে ভালো হয় কূটনীতির পথে পা বাড়ালে, কেননা যুদ্ধের চেয়ে কূটনীতিই ভালো পন্থা।
প্রসঙ্গত, পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর জন্য ইরানকে (পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ চুক্তি) এনপিটি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ইতিমধ্যে এ নিয়ে এগোচ্ছে দেশটি।
নির্বাহী সম্পাদক - মো: নুরুল হক, সম্পাদক ও প্রকাশক: সামিউল কবির, উপ-সম্পাদক : খালেদ হাসান, বার্তা সম্পাদক : ছায়াদ হোসেন সবুজ
অফিস : সুলতানপুর রোড, শান্তিগঞ্জ বাজার, সুনামগঞ্জ। মোবাইল : ০১৭১২-৬৪৫৭০৫, ই-মেইল : dsunam24@gmail.com